বায়তুশ শরফের প্রধান রূপকার

হাদীয়ে যামান শাহ সূফী হযরত মাওলানা মোহাম্মদ আবদুল জব্বার (রাহ.)

হযরত শাহ সূফী মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল জব্বার রাহ. ১৯৬০ সাল হতেই তিনি আনজুমনে ইত্তেহাদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। স্বীয় পীর-মুর্শিদের পদাঙ্ক অনুসারী এই মহান অলি শরীয়ত ও তরিকতের প্রচার ও প্রসারে নিরলসভাবে আত্মনিয়ােগ করেন। মুর্শিদে বরহকের অর্পিত দায়িত্ব পালনে বিভিন্ন সেবাধর্মী পরিকল্পনা প্রণয়ন, গ্রহণ ও বাস্তবায়ন তথা খেদমতে খাল‌্কের উদ্দেশ্যে নিজের সামগ্রিক শক্তি-সামর্থ, তথা আপন জীবন উৎসর্গ করে গিয়েছেন। তিনি তরীকায়ে আলীয়ায়ে কাদেরিয়ার মাধ্যমে তজক্বিয়ায়ে নফস ও ছফায়ে কুলুবের জন্য বিভিন্ন মাহফিল ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠান সমগ্ৰ বাংলাদেশে ছড়িয়ে দেন। দেশ-বিদেশে প্রতিষ্ঠা করেন আনজুমনে ইত্তেহাদ বাংলাদেশের শাখা-প্রশাখা। ৬০টি মসজিদ, ১৫টি এতিমখানা, ১০টি মাদরাসা ও হেফজখানা, গবেষণা প্রতিষ্ঠান, দাতব্য চিকিৎসালয়, হাসপাতাল প্রভৃতি প্রতিষ্ঠা করেন দেশের বিভিন্ন স্থানে। তাঁর শিক্ষা আন্দোলনের প্রকৃষ্ট ফসল ‘আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম’ এবং সুদবিহীন ব্যাংকিং ব্যবস্থা প্রবর্তনের বাস্তব উদাহরণ বেসরকারি পর্যায়ে দেশের সর্ববৃহৎ আর্থিক প্রতিষ্ঠান ‘ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড’।